News:

ভেদরগঞ্জ উপজেলার বর্তমান বয়স প্রায় ৩০০ (তিনশত) বছর। ১৯২৪ সনে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বিক্রমপুর পরগণার জমিদার সৈয়দ ভেদর উদ্দিন শাহের সর্বপ্রথম ভেদরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে কালের প্রভাবে ও প্রশাসনিক চাহিদার আলোকে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সনে ভেদরগঞ্জ থানা হতে উপজেলায় উন্নিত হয়। এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ মানোন্নীত ভেদরগঞ্জ উপজেলা উদ্বোধন করেন। ভৌগলিক বিবেচনায় ২৩.৩৮ ডিগ্রি হতে ২৩.২৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ১০.২৩ ডিগ্রি হতে ১০.৩৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিস্তৃত। শরীয়তপুর জেলা শহরের পূর্বদিকে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত ও দেশখ্যাত পদ্মা নদীর দক্ষিণে তার শাখা ভয়রা নদীর তীরে ঐতিয্যবাহী এম এ রেজা কলেজ অবস্থিত।

এ জনপদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মহৎ প্রয়াশে এলাকার কতিপয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে এগিয়ে আসেন রীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এম এ রেজা (এমএ, এলএলবি)। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব খালিদ আনোয়ার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এম এ রেজা কলেজ। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষা বর্ষ থেকে এটি এম এ রেজা ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয়।

১৯৯৭ সালে কলেজটি বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার স্বর্ণপদক (প্রথম স্থান, কলেজ পর্যায়) অর্জন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, আধুনিক শরীয়তপুরের রূপকার, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম আলহাজ জনাব আব্দুর রাজ্জাক মহোদয়ের সহযোগিতায় কলেজটির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পায়। কলেজ গভর্ণীংবডির সাবেক সভাপতি (জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সহধর্মিণী) মিসেস ফরিদা রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের মানণীয় সংসদ সদস্য জনাব নাহিম রাজ্জাকের সদয় হস্তক্ষেপে এবং মানণীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট তারিখে কলেজটি সরকারি করণ হলে “সরকারি এম রেজা কলেজ” হিসেবে কলেজটির নাম করণ করা হয়।